
ইতিহাস
ছাতু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শত শত বছর ধরে প্রচলিত একটি খাবার। এটি মূলত গরিব কৃষিজীবী মানুষের কাছে সহজলভ্য, পুষ্টিকর ও হালকা খাবার হিসেবে বিবেচিত হতো। কর্মব্যস্ত দিনে তাড়াতাড়ি খাবার তৈরি করার জন্য ছাতু ছিল আদর্শ। যখন রান্নার উপকরণ কম ছিল, তখন চাল ভেজে গুঁড়ো করে ছাতু বানিয়ে তা সংরক্ষণ করা হতো। এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য এবং পানি বা দুধে মিশিয়ে সহজে খাওয়া যায় বলে তা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।অনেক জায়গায় ছাতুকে হজমের সমস্যা, পেটের গরম, গ্যাস-অম্বলের চিকিৎসায় ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আগে ছাতু কেবল গ্রামেই জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু এখন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ শহরেও এটি খেতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে ওজন কমাতে এবং ন্যাচারাল ডিটক্স হিসেবে ছাতুর ব্যবহার বাড়ছে। চালের ছাতু শুধু একটি খাবার নয়, বরং এটি বাংলার প্রাচীন খাদ্যসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।